বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে এলএএইচপি'র আলোচনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত
'বাল্য বিবাহের অশুভ পরিণাম ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী'তে বক্তব্য প্রদানকালে অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে এলএএইচপি’র আলোচনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

লিগ্যাল এসিসটেন্স টু হেল্পলেস প্রিজনার্স এন্ড পার্সনস (এলএএইচপি) এর আয়োজনে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রাজধানীর মহাখালী দিশারী ক্রীড়া চক্র মাঠে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ‘বাল্য বিবাহের অশুভ পরিণাম ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছির।

উপস্থিত ছিলেন সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, লিগ্যাল এসিসটেন্স টু হেল্পলেস প্রিজনার্স এন্ড পার্সনস (এলএএইচপি) ও এথনিকা স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তৌফিকা করিম।

বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ার সাদাতের সভাপতিত্বে বাল্য বিবাহের অশুভ পরিণাম ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন রেডটাইমসের প্রধান সম্পাদক ও জালালাবাদ সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৌমিত্র দেব।

বাল্য বিবাহের অশুভ পরিণাম ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বাল্য বিবাহ একটি দেশের জন্য অভিশাপ।  বাংলাদেশের আইনে মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা আছে ১৮ বছর এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ বছর। এর কম বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে হলে সেটি হয় বাল্য বিয়ে, যা একটি দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের বিধি নিষেধ থাকলেও বাল্য বিয়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় নিয়মিতই। বাল্য বিয়ে দেশের উন্নয়নে একটি বড় বাধা। যদিও বাল্য বিয়ে রোধে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের পদক্ষেপ। তা স্বত্ত্বেও বাল্য বিবাহের কুফল ও এর প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

আলোচনা শেষে মহাখালী সাততলা বস্তির তিন শতাধিক শীতার্ত বাসিন্দাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মহাখালী সাততলা বস্তির কিশোর-কিশোরী ও অভিভাবকবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।