চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে নাজিম-বজলুর
সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এ এস এম বজলুর রশিদ

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে নাজিম-বজলুর

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত–সমর্থিত ঐক্য পরিষদ পেয়েছে সভাপতিসহ ৯টি পদ।

সমিতির মিলনায়তনে গতকাল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর গণনা শেষে গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে সম্পাদকীয় পদ ১০টি, নির্বাহী সদস্য পদ ১১টি। নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের মোট প্রার্থী ছিলেন ৪২ জন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রতন কুমার রায় বলেন, এবার ৫ হাজার ৩০৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪ হাজার ১৪৫ জন ভোট দিয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদ পেয়েছে সমন্বয় পরিষদ। সভাপতিসহ ৯টি পদ পেয়েছে ঐক্য পরিষদ।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ২ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের মনতোষ বড়ুয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৬ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের এ এস এম বজলুর রশিদ ২ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মো. হাসান আলী চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৪ ভোট।

সিনিয়র সহসভাপতি পদে সমন্বয় পরিষদের মো. সেকান্দর চৌধুরী ২ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মো. আবদুল কাদের পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৭ ভোট।

সহসভাপতি পদে সমন্বয় পরিষদের আবদুল হক ২ হাজার ৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মুহাম্মদ কামরুল হাসান নাজিম পেয়েছেন ২ হাজার ১৯ ভোট।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মোহাম্মদ ইমরান ২ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ কাশেম কামাল পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭১ ভোট।

অর্থ সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মোশারফ হোছাইন ২ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের কাজী মো. আশরাফুল হক আনসারী পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৬ ভোট।

পাঠাগার সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২ হাজার ২১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের আহমেদ কবির পেয়েছেন ১ হাজার ৮৫৬ ভোট।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মো. খোরশেদ আলম ২ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জান্নাতুল ফেরদৌস পেয়েছেন ১ হাজার ৮০০ ভোট।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মো. ওমর ফারুক ২ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের পিটু কুমার শীল পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৩ ভোট।

তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের অলি আহমদ ২ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের অভিজিত ঘোষ পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট।

এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যের ১১টি পদের মধ্যে ৬টিতে সমন্বয় পরিষদ ও ৫টিতে ঐক্য পরিষদ জয় লাভ করেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয়লাভ করেছিল সমন্বয় পরিষদ। আর সহসভাপতিসহ ৯টি পদে জয় পেয়েছিল ঐক্য পরিষদ। সমন্বয় পরিষদ থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন আবু মোহাম্মদ হাশেম। একই পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন।