ইবির ছায়া আদালতে নারী নির্যাতন মামলার শুনানি
ইবির ছায়া আদালতে চলছে বিচার কার্য

ইবির ছায়া আদালতে নারী নির্যাতন মামলার শুনানি

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছায়া আদালত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে ‘আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ। গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার যুগ্ম জেলা জজ মোঃ আসাফ উদ দৌলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ এম এ আজহারুল ইসলাম, এ এস এম আখতারুজ্জামান মাসুম, (জিপি, কুষ্টিয়া), কুষ্টিয়ার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসাইন মিঠু, ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট নজরুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ শওকত আলী, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মেহেদী হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন নওরিন নুসরাত স্নিগ্ধা ও মোঃ মমিনুল ইসলাম।

ছায়া আদালতে নারী নির্যাতনের একটি মামলা নিয়ে ছায়া আদালত বসে। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নারী নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তিতে দু’পক্ষের হয়ে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।

ইবির ছায়া আদালতে নারী নির্যাতন মামলার শুনানি
ইবির ছায়া আদালতে নারী নির্যাতন মামলার শুনানি চলছে

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাহিদা আখতার বলেন, চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিকভাবে যা কিছু শেখা যায়, চার দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরলে তার থেকে বেশি কিছু শেখা যায়। একটি মামলা উপস্থাপনে শিক্ষকদের বছরে গবেষণা করতে হয় একটি, কিন্তু একজন বিচারক যখন রায় দেয় তারা পুরো গবেষণা করে মাত্র একদিনে। সুতরাং তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সমাজের জন্য এবং ন্যায় বিচারের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, অল্পকিছু সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মামলার উৎপত্তি কোন না কোনভাবে ভূমির সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং ভূমি ব্যবস্থাপনা যত উন্নত করতে পারবো দেশ, দেশের বিচারবিভাগ, বিচার অঙ্গন ততটাই উন্নত, সহজ-সরল এবং সুন্দর সাবলীল হয়ে উঠবে।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়ার যুগ্ম জেলা জজ মোঃ আসাফ উদ দৌলা বলেন, সত্য ঘটনাকে উন্মোচন করার জন্য আমাদের এই সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যারা আইনজীবীরা যখন যেপক্ষে থাকি তখন সে পক্ষের হয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। এতে অনেক সময় আসল সত্য চোখের সামনে আসে না। তাই সত্য উদ্ঘাটনে কাজ করতে হবে। আমাদের যারা বড় বড় রাজনীতিবিদ ও ব্যক্তিত্ব ছিলেন তাদের বেশিরভাগ ছিলেন আইনজীবী। আপনারা এটাকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে নেবেন। আমার কাছে মনে হয়েছিল ল-পড়া সব থেকে সহজ এজন্য আমি আইনে ভর্তি হয়েছিলাম।

ইবির ছায়া আদালতে নারী নির্যাতন মামলার শুনানি

প্রসঙ্গত, মুর্ট কোট বা মুটিং হচ্ছে একটি কাল্পনিক কেসে আইনের ছাত্রদের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করা। এটি হয়ে থাকে একটি কাল্পনিক কোর্ট যেখানে বিজ্ঞ জজের আসনে বসেন বিচারক গন।