দক্ষতা বাড়াতে আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় জুডিশিয়াল একাডেমি নির্মাণ হবে। একাডেমিতে তাদের (আইনজীবীদের) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বুধবার (৩১ মে) তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান চলতি জাতীয় বাজেট প্রণয়নে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রস্তাবিত ১১ দফা মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন- আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল জালাল চৌধুরী, সহ-সভাপতি সুরাইয়া বেগম, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শাহেদ আলী জিন্নাহ, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ আলম টিপু, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিজানুর রহমান, সদস্য কামাল হোসেন ও সদস্য ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীদের ১১ দফার মধ্যে প্রথম অংশে ৬ দফা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি বার্তা। দেশ থেকে অর্থপাচার বন্ধ ও বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে একটি ভালো প্রস্তাব। এসব দফা বাস্তবায়ন হলে দেশ থেকে অর্থ পাচার কমবে, যা দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে। তবে এসব দফা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
আইনজীবীদের বেনিভোলেন্ট ফান্ড বৃদ্ধির ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীদের উন্নতির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসব বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও মানবিক। বিচারকদের প্রণোদনার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিচারকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। আবাসন ব্যবস্থার উন্নতি করছে।
গত ২১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান অর্থ পাচার রোধ ও ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। তিনি ‘ব্যাংক ও বীমা’বিভাগ নিয়ে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান।
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আয়কর আইনের নানা জটিল বিষয়গুলো দ্রুত সংস্কার এবং সহজ শর্তে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে অর্থ পাচার অনেকটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আয়কর আইনের নানা জটিল বিষয়গুলো দ্রুত সংস্কার এবং সহজ শর্তে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে অর্থ পাচার অনেকটা কমবে।