দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি

ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিতে আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলীয় কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিতিসহ সামাজিক নানান কর্মকাণ্ডেও ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাদের কেউ কেউ এলাকায় গণসংযোগও শুরু করেছেন।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার দৌড়ে এবারও পিছিয়ে নেই আইনজীবীরা। তাদেরও অনেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হতে আগ্রহী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও অন্যান্য জেলার বারের সদস্য মিলিয়ে এরকম অন্তত অর্ধশত আইনজীবী রয়েছেন। তাদের অনেকে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে ‘সবুজ সংকেতও’ পেয়েছেন। অনেকে নৌকার বইঠা হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী।

তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে জোরালোভাবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

এ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র। আসনটির বর্তমান এমপি ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির

১৯৬১ সালের ৩ আগস্ট কিশোরগঞ্জের অষ্টবর্গ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোমতাজ উদ্দিন ফকির। আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ১৯৮৮ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।

আইনজীবীদের ভালবাসা ও ভোটে জনপ্রিয় এই আইনজীবী নেতা একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকীয় পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৯৪-১৯৯৫ মেয়াদে ‘সহ-সম্পাদক’ এবং ২০০১-২০০২ মেয়াদে ‘সম্পাদক’ নির্বাচিত হন।

সমিতির দায়িত্ব পালনকালে দল, মত ও সকল দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে পেশার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী।

এছাড়া দীর্ঘ এক দশক (২০১০-২০২০) রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গ্রেফতার ও বিনা বিচারে কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে।