বিচারহাইকোর্টে হাজির হয়ে এক কিশোরী বললেন, ‘আমি ধর্ষণের শিকার, বিচার চাই’পতি সিনহার নামে মিথ্যা মামলা: ব্যারিস্টার হুদার বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার
উচ্চ আদালত

ধর্ষণ মামলার আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামির আগাম জামিন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।

ওই আসামির নাম মো. আমির হোসেন ওরফে মো. আমির শাহের (৩৫)। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। আসামিপক্ষে ছিলেন মো. এমদাদুল হক কাজী।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আমিরের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই শিক্ষার্থীর। পরিচয় ঘনিষ্ঠ হলে আসামি ভালোবাসার অভিনয় করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করেন। সেই সময় ধারণ করা ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নানা সময়ে মোট তিন লাখ ২৯ হাজার টাকা আদায় করেন।

পরবর্তীকালে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ২০২২ সালে আবারও ধর্ষণ করেন। পরে ওই চিকিৎসক বিদেশে চলে যান। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর চকবাজার থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)(২)(৩) ধারায় মামলাটি করা হয়।

এ মামলায় মঙ্গলবার আগাম জামিন নিতে এসেছিলেন আসামি আমির।