নির্বাচন কমিশন (ইসি)
নির্বাচন কমিশন (ইসি)

বগুড়া জেলা ও দায়রা জজকে প্রত্যাহারের সুপারিশ ইসির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ অনুসন্ধানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত কমিটিকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও অসহযোগিতার অভিযোগে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ এ একে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ইসি।

ওই বিচারককে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করাসহ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সুপারিশ করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেছে কমিশন।

বগুড়া জেলায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সাতজন চেয়ারম্যান ইসিকে মৌখিকভাবে এ তথ্য জানান। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) কমিশন সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর ৯১(এ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ২২ নভেম্বর জারিকৃত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে সারাদেশে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ধারাবাহিকতায় বগুড়া জেলাধীন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে সাতটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

ইসি আরও জানায়, বগুড়ায় গঠিত সাতটি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানরা মৌখিকভাবে জানান যে, বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ এ, একে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে তাদের বাধা বা অসহযোগিতা করছেন। যা নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ৪ ও ৫ ধারা অনুযায়ী অসদাচরণের অন্তর্ভুক্ত।

এ অবস্থায় মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করাসহ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশন।

মৌখিক অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বিজ্ঞ বিচারকদের নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়াসহ প্রশিক্ষণে অংশ না নিতে বলা হচ্ছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকে উপেক্ষা করে বিচারিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। অনুসন্ধান কমিটির জন্য বগুড়া জেলা ও দায়রা জজের অনুকূলে বরাদ্দ করা বাজেট সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির মধ্যে বিতরণে অপারগতা প্রকাশ করছেন।