দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বরত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন জেলায় প্রার্থীদের সমর্থকদের নানা অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে ৬১টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। এর মধ্যে ৬০ জন অভিযুক্তকে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে এক হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ১ জন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের দিন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা এমন সাজা দেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, বগুড়া-১ আসনে চারজন, নোয়াখালী-৪ আসনে চারজন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দুজন, নাটোর-১ আসনে একজন, কুমিল্লা-৪ আসনে একজন, পিরোজপুর-১ আসনে একজন, ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসনে তিনজন, নোয়াখালী-১ আসনে দুজন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে একজন, বরগুনা-২ আসনে একজন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে একজন, বাগেরহাট-৪ আসনে একজন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে একজন, নড়াইল-১ আসনে একজন, কুষ্টিয়া-১ আসনে তিনজন, কক্সবাজার-২ আসনে একজন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে একজন, কক্সবাজার-১ আসনে চারজন, গাইবান্ধা-৫ আসনে একজনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বরগুনা-১ আসনে তিনজন, মৌলভীবাজার-১ আসনে একজন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে একজন, গাইবান্ধা-১ আসনে একজন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে একজন, ময়মনসিহ-৯ আসনে একজন, শরীয়তপুর-২ আসনে দুজন, জয়পুরহাট-২ আসনে একজন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে একজন, ভোলা-৪ আসনে তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে একজন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে একজন, নরসিংদী-৩ আসনে দুজনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ জরিমানা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এ প্রথমবারের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ৪১ জনকে আটক, একজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
অন্যদিকে নির্বাচনী অনিয়মের কারণে ২৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে ইসি। যেগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধানের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন।
এবারের নির্বাচনে ৬৫৩ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই হাজারের মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে ইসি।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতাহীনভাবে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ইসি। চট্টগ্রাম-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে সংস্থাটি।