মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে এসে ড্রাইভারকে ভাড়া না দিয়ে উল্টো ড্রাইভারকে বেদম মারধর করছিলেন এক বখাটে যাত্রী।
এ ঘটনা কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আবদুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে তাঁর খাস কামরা থেকে আদালতের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধর করা ব্যক্তিকে ধৃত করেন।
সিজেএম আবদুল্লাহ আল মামুন মারধরের শিকার আহত ভিকটিম কামাল হোসেন এর জবানবন্দি নেন। পরে সিজেএম আদালতে একটি মিস মামলা রুজু করেন। যার নম্বর: ০১/২০২৪ ইংরেজি।
উক্ত মিস মামলায় অভিযুক্ত মোঃ ইউনুচ-কে ১৮৬০ সালের ফৌজদারী দন্ড বিধির ১৬০ ধারায় তাৎক্ষণিক দোষী সাব্যস্ত করে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ১০০ টাকা অর্থদন্ড এবং অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩২৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আসামীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
কক্সবাজারের সিজেএম আবদুল্লাহ আল মামুন এর এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ কক্সবাজার আদালত পাড়ায় বেশ প্রশংসিত হয়।
সিসিটিভি ক্যামেরাতে দেখে স্বশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষনিক বিচার করার বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, সিজিএম মহোদয়ের ইতিবাচক এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ ধরনের পদক্ষেপ কক্সবাজার আদালত পাড়া থেকে অপরাধীদের তৎপরতা কমাবে এবং বিচারপ্রার্থীরা সহ সংশ্লিষ্ট সকলে অধিকতর নিরাপত্তা পাবে।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধীকে আটক ও তাৎক্ষণিক বিচারের আওতায় এনে দূরদর্শিতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন উল্লেখ করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছৈয়দ আলম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমে কক্সবাজার কোর্ট এলাকায় টাউট বাটপারদের দৌরাত্ম অনেক হ্রাস পাবে। যার ফলে আদালত পাড়ায় আগত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ স্বস্তি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেছেন, সিজেএম মহোদয় এর উল্লেখিত কাজে ঝুঁকি থাকা সত্বেও তিনি সাহসিকতার সাথে জনস্বার্থকে প্রধান্য দিয়েছেন। যা সমাজের সর্বস্থরের মানুষের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে। তাঁর মতে, সিজেএম মহোদয়ের এ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজ অবশ্যই কোর্ট পাড়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।