একই আদেশের বিরুদ্ধে দুই আবেদন, আইনজীবীকে তলব
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

আপিল বিভাগের বিচারকাজ চলবে ২ নম্বর এজলাস কক্ষে

সংস্কার কাজ চলমান থাকায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১ নং কোর্টের এজলাস কক্ষে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ নং কোর্টের এজলাস কক্ষে আপিল বিভাগের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য মতে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১ নং কোর্টের এজলাস কক্ষে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। ফলে আগামী ২১ এপিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ২ নং কোর্টের এজলাস কক্ষে আপিল বিভাগের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এর আগে চলতি বছরের গত মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ছাদ থেকে জমে থাকা বৃষ্টির পানি বিচারপতিদের আসনে গড়িয়ে পড়ায় আপিল বিভাগের কার্যক্রম সাময়িক ব্যাহত হয়। এজন্য প্রায় ৬০ বছর আগের এ ভবনের সংস্কারকাজ জরুরি হয়ে পড়ে।

এরই প্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চলছে সংস্কারকাজ। শুরুতে মূল ছাদের জলছাদ এবং তার ওপর বিভিন্ন সময়ে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে লেপা স্তর তুলে ফেলা হয়। এরপর প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষের ছাদ সংস্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হয়।

সরিয়ে নেওয়া হয় আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টের এজলাস কক্ষের সব আসবাবপত্র। খুলে ফেলা হয় বাতিসহ লাইটিংয়ের সব উপকরণ। আইনজীবীদের বসার জন্য সব বেঞ্চ রাখা হয় বারান্দায়।

আপিল বিভাগের বিচারকাজে বিঘ্ন

গত ২১ মার্চ সকালে বিচারকাজ শুরু হলে ছাদ থেকে পানি পড়ার ঘটনা ঘটে। তখন কিছু সময়ের জন্য বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বিচারপতিদের আসন বিন্যাসে কিছুটা পরিবর্তন করে পুনরায় বিচার কাজ শুরু করেন।

এদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি তাদের আসন গ্রহণ করে বিচার কাজ শুরু করেন।

১০টার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ছাদ থেকে এজলাসের (বিচারপতিদের বসার জায়গা) পূর্ব পাশে একজন বিচারপতির আসনের ওপর ছাদ থেকে পানি গড়িয়ে পড়তে দেখেন এবং বিষয়টি তার বেঞ্চ অফিসারকে জানান।

একপর্যায়ে ঘটনাটি প্রধান বিচারপতির নজরেও আসে। এরপর প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পুনরায় ফিরে এসে বিচার কাজ শুরু করেন বিচারপতিরা।

জানা গেছে, ১৯৬৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট ভবন উদ্বোধন করেছিলেন আইয়ুব খান। যদিও এ ভবন নির্মাণের সার্বিক তদারকিতে ছিলেন গভর্নর মোনায়েম খান। ১৯৬৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। আর চৌকস প্রকৌশলীদের একটি দল ৪৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ও ৩৭০ ফুট প্রস্থের ১৯টি বিচারকক্ষ-সংবলিত ভবনটি মাত্র ৭৪ লাখ ৭৫ হাজার রুপিতে নির্মাণ করে তৎকালিন সরকার।