সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর দুইদফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম জানাজা রাজধানীর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে আজ শনিবার (৪ মে) বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শনিবার বাদ আছর। পরে বনানীতে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা যান। পরদিন সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে আনা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
আব্দুল জামিল (এ জে) মোহাম্মদ আলী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছিলেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য।
২ মে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৮ সালে ঢাকা জেলা জজ আদালতে, ১৯৮০ সালে তিনি হাইকোর্টে ও ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
২০১৩-১৪ সেশনে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল।