অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধানে হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মেরি আকতার ও অ্যাডভোকেট আশরাফি সানজিদা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইমদাদ এইচ খান।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে এনসিপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব বলেন, রিট আবেদনটি ছিল প্রি-ম্যাচিউরড বা অপরিপক্ক। কারণ রিটকারী কোনো নির্বাচনী প্রার্থী নন। পাশাপাশি তিনি চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। অথচ আরপিওর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রেও অবসরের পর তিন বছর অতিবাহিত না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এসব বিবেচনায় রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরপিওর ১২(১)(সি)(এফ) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু মো. মোফাখ খারুল ইসলাম। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চেয়ে তিনি আদালতের নির্দেশনা কামনা করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন।
রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রিটকারী একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, চাকরিরত অবস্থায় গত ২০ ডিসেম্বর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, আরপিওর ১২(১)(সি)(এফ) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী অবসরের পর তিন বছরের মধ্যে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

