খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করল হাইকোর্ট

খালেদা জিয়ার আপিল প্রস্তুত কি না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত কি না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার প্রতি এ আদেশ দিয়ে বুধবার (২৭ জুন) আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

আজ সোমবার (২৫ জুন) এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ আপিল নিষ্পত্তি করতে উচ্চতর আদালতের আদেশ রয়েছে। তাই রোববার (২৪ জুন) আপিলটি মেনশন করা হয়েছে। আদালত মেনশন গ্রহণ করে সোমবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আজ আদালত সংশ্লিষ্ট শাখার কাছে জানতে চেয়েছেন আপিল মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত কি না। তা জানতে চেয়ে বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত।

এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগ ১৬ মে রায় দেন। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

গত ১৬ মে খালেদাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় দেন।

তার আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।

১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।

এ লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। তারপর আপিল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন উচ্চতর আদালত।

এর মধ্যে দুদক খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে আবেদন করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এছাড়া ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনও হাইকোর্টে আপিল করেন।