২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা আবার যদি ফিরে আসতে পারি, এর মাঝে অবশ্যই আমরা তাকে (তারেক) ফিরিয়ে আনতে পারবো। শাস্তি দিতে পারবো। এই বিশ্বাস আমার আছে।
আজ বুধবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ দিন। যেন ক্ষমতায় এসে অন্যায়-অবিচার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক দূর করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগ পাই।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী তার প্রশ্নে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। আল্লাহ যদি চান, আগামী নির্বাচনে আমরা আবার যদি ফিরে আসতে পারি, এর মাঝে অবশ্যই আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। শাস্তি দিতে পারবো। এই বিশ্বাস আমার আছে। এজন্যই দেশবাসীর কাছে দোয়াও চাই, ভোটও চাই যাতে আবার ফিরে এসে যেন এই অন্যায়-অবিচারের বিচার করতে পারি। খুনের সাজা কার্যকর করতে পারি।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে আসার পর আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা বা শেষ করার চেষ্টা হয়েছে। শারীরিকভাবে শেষ করার চেষ্টা হয়েছে। নানা রকম বদনাম দেওয়ারও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতে সফল হয়নি। ২১ আগস্ট বিএনপি-জামাতের সৃষ্টি করা আঘাত সেদিন প্রকাশ্য দিবালোকে এনেছিল। যার (তারেক জিয়া) কথা বলা হয়েছে তার পিতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে ও তার মা এই ২১ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে সত্য যে কোনোদিন চাপা থাকে না, তা আজকে মামলা চলতে চলতে সত্য বেরিয়ে এসেছে। সেই হত্যার যে বিচার করতে পেরেছি এটাই সব থেকে বড় কথা। আজকে বিচারে সাজা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শাস্তি যখন পেয়েছে যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন আল্লাহর ওপর আমার বিশ্বাস আছে, বংলাদেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস আছে, নিশ্চয়ই একটা দিন আসবে যে যারা এত বড় জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, প্রকাশ্য দিবালোকে রণক্ষেত্রের ব্যবহৃত গ্রেনেড রাজপথে ব্যবহার করে এভাবে হত্যা করেছে, আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের বিচার যখন হয়েছে, রায় যখন হয়েছে, একদিন সাজা পেতেই হবে। সাজা তাকে ভোগ করতে হবে।’
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিয়ে, আহার ভাগাভাগি করে আমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন এবং আমাকে সার্বক্ষণিক সাহস জুগিয়েছেন।’