সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৬–এর বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব এ আদেশ দেন।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় রফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদেশে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ কিংবা গ্রেফতারের তারিখ হতে কারাদণ্ডের মেয়াদ শুরু হবে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১০ জুন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো রফিকুল ইসলামকে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নোটিশ দেয়। কিন্তু তিনি সম্পদের বিবরণ জমা দেননি। এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি রফিকুলের বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই কর্মকর্তা ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত আজ রায় ঘোষণা করলেন।