দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণের নতুন তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা প্রনয়ণের খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ।
পরে আইনজীবী বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত নির্ধারিত দিনে শুনানি নিয়ে ডাক্তারদের প্রাক্টিস নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার সর্বশেষ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে রিভাইস করে নতুন যে তালিকা করা হয়েছে তাও দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এই আদেশ ছাড়াও দেশের সকল জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়াও অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা ও ফি-র মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন লাইসেন্স দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।
আগে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ এর ১৪ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। এই ধারায় বলা আছে, ‘ডিজি হেলথ অথবা তার মনোনীত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এ অধ্যাদেশের অধীন কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবেন না।’
রিট আবেদনে সব অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতিসহ তালিকা দাখিল, সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০ বেডের আইসিইউ/সিসিইউ স্থাপন, মেয়াদহীন ওষুধ ব্যবহারে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিএসটিআই অনুমোদিত ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।