পা হারানো রাসেল সরকারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রায় বৃহস্পতিবার

গ্রীন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত রায়ের দিন পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাসেলের পক্ষে ছিলেন খন্দকার সামসুল হক রেজা। গ্রীন লাইন পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের এই বেঞ্চের কার্যতালিকায় রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আজ নির্ধারিত দিনে তা পিছেয়ে ১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হলো।

গত ৫ মার্চ এই মামলায় ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য যেকোনো দিন অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন আদালত।

উল্লেখ, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রীন লাইন পরিবহনের ধাক্কায় প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় গাইবান্ধার একই এলাকার বাসিন্দা জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (বর্তমানে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

হাইকোর্ট ওই বছরের ১৪ মে এ বিষয়ে রুল জারি করেন। রুলে কেন রাসেলকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

পরে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এক আদেশে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর এ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ।

গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রীন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, প্রয়োজন হলে তার পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। এর অগ্রগতি হলফনামা আকারে ৩১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়।

তবে, হাইকোর্টের ১২ মার্চের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহন আপিল বিভাগ আবেদন করে, যা ৩১ মার্চ খারিজ হয়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।