ঘুস লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান সোমবার (২৮ মার্চ) এ রায় দেন।
দণ্ডিত কাশেম শরীফ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অপরদিকে, এ মামলার মূল আসামি সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চারদলীয় জোট সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক সাহিদুর রহমান। মামলায় কানাডার নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেডের কাছ থেকে কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি, রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২৩ হাজার ৮০৫ টাকা ও কানাডা-আমেরিকা ভ্রমণ বাবদ ৫ লাখ কানাডিয়ান ডলার ঘুস নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
মামলার এজহারে আরও বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাসের ক্রয়চুক্তি (জিপিএসএ) সম্পাদনের সময় নাইকোকে সুবিধা দিতে নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফের কাছ থেকে এসব সুবিধা নেন। ঘুস নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর ওই মন্ত্রণালয় থেকে মোশাররফ হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালের আগস্টে দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।