নওগাঁ প্রতিনিধি: ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জঙ্গীদের কাপুরুষোচিত বোমা হামলায় নিহত বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সদস্য সাবেক সিনিয়র সহকারী জজ স্বর্গীয় জগন্নাথ পাঁড়ে ও শহীদ সোহেল আহম্মেদ এর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
নওগাঁ জজশীপের কনফারেন্স কক্ষে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবু শামীম আজাদ।
সভায় নিহতদের কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ তাজুল ইসলাম মিঞা ও সহকারী জজ আফসান ইলাহী।
নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ কুদরাত-ই-খোদা।
উক্ত অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা জজ আদালতে কর্মরত সকল বিচারক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে নৃশংস বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের।
এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখাপ্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লা ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন।
২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর আরেক জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।