পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২৭ থেকে ৩০ বছর করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ৬৭ চাকরিপ্রার্থীর প্রতিনিধি মো. আব্দুল লতিফের পক্ষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী রাশেদুল হক বলেন, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২৭ বছর থেকে ৩০ করার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের এক দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিটকারীরা বলেন, করোনার সময়ে দুই বছর এসআই পদে কোনো সার্কুলার হয়নি। মূলত করোনাকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরির আবেদনে ৩৯ মাস বয়স ছাড় দিয়েছে। করোনার ওই দুই বছর সেশনজটে নাজেহাল শিক্ষার্থীরা।
আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে আবেদনের বয়সসীমা ১৯ থেকে ২৭ বছর এবং আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাস। আমরা চরম হতাশা প্রকাশ করছি এ জন্য যে, আমাদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট, পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রতা শিক্ষিত যুবকদের অনেকের স্নাতক সম্পন্ন করতে ২৫-২৬ বছর লেগে যায়। স্নাতকের ফলাফল পেতেও এক বছর চলে যায়।
তাঁদের বক্তব্য, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় স্নাতক শেষ করতে ২৫-২৬ বছর লেগে যায়। ফলে পুলিশে এসআই পদে যোগদানে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা মাত্র এক বা ২ বার আবেদনের সুযোগ পান। যেখানে অন্যান্য সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর। এজন্য প্রার্থীর বয়স ২৭ থেকে ৩০ বছর করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।