মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের যে মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। ১৪ জনের মধ্যে অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আইনজীবী এই আবেদন করেছেন।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার (২৬ জুন) আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেছেন। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে আবেদনকারীপক্ষ জানিয়েছে।
এর আগে গত ১২ জুন ওই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। পাশাপাশি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।
অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ মঙ্গলবার (২৫ জুন) আবেদনটি করেন। সেটি শুনানির জন্য বুধবার আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী গোবিন্দ বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
আবেদনের প্রার্থনায় দেখা যায়, ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।
এর আগে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।