মানহানির দুই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ মঙ্গলবার (২২ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের আদালত থেকে হলফনামার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবীরা।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এজে মোহাম্মদ আলী।
জিয়া অরফানেজে জামিন বহাল থাকার পর এ নিয়ে ৫টি মামলায় জামিন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে দু’টি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হবে। তার আইনজীবীরা বলছেন, মোট ছয়টি মামলায় তিনি জামিন পেলে কারামুক্ত হতে পারবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে এ মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
এ দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৭ মে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এ বিষয় শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে অপর মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
গত রোববার কুমিল্লা করা দু’টি নাশকতার এবং নড়াইলে করা একটি মানহানি মামলায় জামিন আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া।