পথশিশু

পথশিশুদের পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

দেশের পথশিশুদের পুনর্বাসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বলেন, আজ এ মামলায় সংশ্লিষ্টদের পথশিশু পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করার দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পরে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ জানাতে এবং পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

রিটকারী আইনজীবী আরও বলেন, পাশাপাশি রাজধানীর ফকিরাপুলে শিশু সেলিমের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। ঘটনা তদন্ত করে, মামলা করে এবং এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর পথশিশুদের পুনর্বাসনে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ রিট করেন। এরপর ‘শিশুটির গাঁয়ে আগুন দিল কে’ শিরোনামে গত ১৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে সম্পূরক আর একটি আবেদন করেন রিট আবেদনকারী। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর দেশের পথশিশুদের পুনর্বাসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে ৪০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রাজধানীর ফকিরাপুলে শিশু সেলিমের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে, মামলা করে এবং এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপক্ষ আজ সময়ের আবেদন করায় নতুন এ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।