প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারির বিষয় খতিয়ে দেখছে রাজস্ব বোর্ড

পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মুদ্রাপাচারের বিষয়ে আমাদের একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আছে। বিএফআইইউ’র সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শুল্ক ও গোয়েন্দা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করছে। আমরা একে অন্যের তথ্য বিনিময় করি। মুদ্রাপাচারের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় পেয়েছি, যা এখন খতিয়ে দেখছি। যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হবে।’

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ আয়োজিত ট্যাক্স কার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে এলটিইউ-এর আওতাধীন ব্যাংকিং, নন-ব্যাংকিং খাতে ২০১৬-১৭ করবর্ষে ট্যাক্স কার্ড প্রাপ্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, পানামা পেপারস, প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে কয়েকজন বাংলাদেশির নামও এসেছে। সম্প্রতি প্যারাডাইস পেপারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ কয়েকজনের নাম উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, ‘ট্যাক্স কার্ডপ্রাপ্তদের দেওয়া সম্মাননা এনবিআর ও করদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব কমবে। রাজস্ব বাড়াতে গতি আনবে। গভর্নর বলেন, ‘অর্থনেতিক উন্নয়নে এনবিআর-বাংলাদেশ ব্যাংক পার্টনারশিপ হিসেবে কাজ করছে। ব্যাংকিং খাত আয়কর খাতে ৪৯ শতাংশ এবং নন-ব্যাংকিং খাত ২৫ শতাংশ অবদান রাখছে জেনে ভালো লাগছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।’ দেশে ৫৭টি ব্যাংক, ৩২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ইন্স্যুরেন্স খাতকে রাজস্ব আহরণে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।