যৌন হয়রানির দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক দলের সাবেক চিকিৎসক ল্যারি নাসারকে ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন দেশটির একটি আদালত। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, ল্যারি নাসারের যৌন নির্যাতনের শিকার প্রায় ১৬০ জনের জবানবন্দি নেওয়ার পর এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। যৌন নির্যাতনের ১০টি মামলায় নাসার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
নিজের কৃত অপকর্মের জন্য আদালতে ক্ষমা চান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এই চিকিৎসক। তবে বিচারক রোজম্যারি আকিলিনা তার এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার জন্য ৫৪ বছর বয়সী এই ডাক্তারকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
শাস্তি দেওয়ার সময় রোজম্যারি আকিলিনা নাসারকে বলেছিলেন, ‘আপনি যা করেছেন তা একটি ভয়াবহ অপরাধ। এজন্য জীবনের বাকি দিনগুলো আপনাকে অন্ধকার কারাগারেই কাটাতে হবে। কারাগারের বাইরে থাকার কোনো অধিকার আপনার নেই।’
তিনি যৌন নিপীড়ককে বলেছিলেন,‘আপনি যা করেছেন তার ক্ষমা নেই। আমি আমার কুকুরগুলোকে আপনার পেছনে লেলিয়ে দেইনি। আমি শুধু আপনার মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছি।’
বিচারক বলেন, ভুক্তভোগীদের ব্যথা ও মানসিক যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা আপনার জানা নেই। তবে তিনি তাদের যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন।
সাত দিনের শুনানি চলাকালে আদালতে জবানবন্দি দেওয়া যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের বর্ণনা ছিল একই রকমের।
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টিকস টিমের নারীদের ডেকে নিতেন দণ্ডপ্রাপ্ত এই চিকিৎসক। কিন্তু ব্যথা লাঘবের বদলে তিনি তাদের সরলতার সুযোগ নিতেন। ভিকটিমদের মধ্যে কম বয়সী নারীও ছিলেন। ল্যারি নাসারের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে স্বর্ণজয়ী গ্যাবি ডগলাসসহ একাধিক মার্কিন অলিম্পিয়ান রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম