চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজকে আইনজীবী সমিতির বিদায় সংবর্ধনা

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহেনূরকে আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।

আজ রোববার (২৫ নভেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির ৩ নাম্বার মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সমিতির সভাপতি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মাহমুদ খাইরুল, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ কিউ এম নাসির উদ্দীন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সী মশিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন আদালতের বিচারকগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রবীণতম আইনজীবী, সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ।

সমিতির সহ-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত বিচারক মোহাম্মদ শাহেনূর, সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ” জনাব শাহেনূর সাহেব বিচার বিভাগের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনিঁ কখনো ব্যাক্তি, চেহেরা বা মতাদর্শের ভিত্তিতে বিচার কার্য পরিচালনা করেননি। বিচারিক দৃষ্টি ভঙ্গী ও মনোভাব চট্রগ্রাম আদালতে সর্বমহলে প্রশংসিত।”

সংবর্ধিত বিচারক মোহাম্মদ শাহেনূর বলেন, “প্রায় ৬ বছর চট্রগ্রামে দায়িত্ব পালন করেছি। এই চট্রগ্রাম আমার কাছে দ্বিতীয় ঘর। বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক স্বৃতি, অনেক পরিচিত মুখ। যাদের অনেকেই আজকে এখানে উপস্থিত আছেন। আমি সবসময় মানুষ হিসাবে একজন জাজ হিসাবে বিচারিক দৃষ্টিকোণ থেকে যা করার সুযোগ ছিল তা করেছি। আমি শ্রদ্বার সাথে স্বরন করছি আমার বিচারক জীবনের আদর্শ সাবেক প্রধান বিচারপতি এম রহুল আমিন স্যারকে। ওনার সাথে আমার দুই বছরের কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। যিনি আমাকে নিজ ছেলের মতো দেখতেন।”

বিচারক শাহেনূর বলেন,”আমি উপস্থিত সবাইকে বলব আমাদের সকলের দায়িত্ব বিচার প্রার্থীরা যাতে ন্যায় বিচার পায়। কেউ যাতে হয়রানি না হয়। ”

জজশীপে লোকবল সংকটের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,”মামলা যখন ৫ হাজার ছিল তখন লোকবল ছিল ৪৭ জন। আজ ৩০ হাজার মামলা এখনো লোকবল সেই ৪৭ জন।”

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, “বহু বিচারক চট্রগ্রাম আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং চলে গেছেন। কিন্তু সমিতির পক্ষ হতে এ রকম আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা সবাইকে দেওয়া হয়নি। বিচারক শাহেনূর কেমন ছিলেন সেটা আমরা সবাই জানি। ওনার দায়িত্ব পালনে যে বিচারিক মনোভব রেখে ন্যায় বিচার সম্পাদন করেছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা অন্তরের অন্তস্তল থেকে আইনজীবী এবং চট্টগ্রাম বারের পক্ষ হতে বিদায় জানাচ্ছি।”

এরপর চট্টগ্রাম বারের পক্ষ হতে সংবর্ধিত অথিতি কে ক্রেস্ট প্রধান করেন সমিতির সভাপতি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী/চট্টগ্রাম প্রতিনিধি