পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা: দুদক

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর কাগজপত্র দাখিলের সময় নিয়েও নির্ধারিত সময়ে তা দেননি ডিআইজি মিজানুর রহমান। তিনি কাগজপত্র দাখিলের জন্য নতুন করে সময় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

এদিকে ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষেই আইনগত ব্যবস্থা নেবে দুদক।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল ডিআইজি মিজানুর রহমানকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। এরপর গত ৩ মে সশরীরে দুদকে হাজির হন ডিআইজি মিজান। ওইদিন দুদক কার্যালয়ে তাকে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ কর হয়। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ,ব্যাংকের পে-অর্ডার, ব্যাংকের অ্যাকাউন্টসহ সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডিআইজি মিজান ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কাগজপত্র, টিআইএন সার্টিফিকেটসহ তার সম্পত্তির কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। তখন ডিআইজি মিজান দাবি করেছিলেন, তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোনও সম্পদ নেই। এরপর নিজেই রবিবার (৬ মে) কাগজপত্র দাখিলে সময় চেয়ে নেন।

কিন্তু রবিবারও কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ওইদিন কাগজপত্র জমা না দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চান ডিআইজি মিজান।এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে কাগজপত্র দাখিলের সময় দিয়েছে।

দুদক সচিব শামসুল আরেফিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোনও অভিযোগ আসলে তা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দুদক। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে তারপর কাউকে তলব করা হয়।’

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলেই তাকে তলব করা হয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলে তিনি ব্যর্থ হন এবং দুদকের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেন। রবিবার (৬ মে) তার কাগজপত্র দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল।’ কিন্তু এদিনও তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক তাকে সময় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব।

সচিব আরও বলেন, ‘এখনও এই অভিযোগ তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষেই আইনগত ব্যবস্থা নেবে দুদক।

তবে দুদক তাকে কাগজপত্র দাখিলের জন্য কতদিন সময় দিয়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি দুদক সচিব শামসুল আরেফিন।

তিনি বলেন, ‘এখনও মামলা দায়েয়ের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে কাগজপত্র দাখিলের সময় দেওয়া হয়েছে।’