ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট পাইরেসি করে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তার (প্রতীকী ছবি)

প্রতারণার অভিযোগে লখনউয়ের আইনজীবী গ্রেপ্তার

একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনায় এ বার লখনউয়ের এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম, অনিল যাদব। সোমবার (২৭ মে) দুপুরে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সল্টলেকের এক বাসিন্দা। অভিযোগ, ওই সংস্থা কলকাতার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে মোট ৩৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু ভর্তির ব্যবস্থা হয়নি। আরও অভিযোগ, এর পরে ওই বেসরকারি সংস্থার তরফে অভিযোগকারীকে বলা হয় লখনউয়ের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে। অভিযোগকারী লখনউয়ে গিয়ে কয়েক মাস থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেখানেও ভর্তির কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এর পরে সল্টলেকের সেই বাসিন্দা পুলিশের দ্বারস্থ হন।

তদন্তে নেমে পুলিশ বিহারের বাসিন্দা সন্দীপ রাজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই চক্র সক্রিয়। ধৃত সন্দীপকে জেরা করে পুলিশ অনিলের খোঁজ পায়। পুলিশ জানিয়েছে, লখনউয়ের বাসিন্দা অনিল ওই চক্রের অন্যতম মাথা। এই ঘটনায় আরও একাধিক ব্যক্তির নাম তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

শুধু এই রাজ্যের নয়, ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দারাও অনেক সময় এই শহরে ঘাঁটি তৈরি করে এই ধরণের অপরাধ সংঘটিত করছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সল্টলেকের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। এমন প্রতারক বেসরকারি সংস্থাগুলি রীতিমতো সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে। অথচ কোনও পুলিশি নজরদারি নেই।

যদিও পুলিশের দাবি, এ রকমের কোনও অভিযোগ পেলেই অপরাধীদের দ্রুত ধরা হচ্ছে। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের বক্তব্য, বার বার এই ধরণের প্রতারণা সম্পর্কে সচেতনতার কাজ করা হয়। কিন্তু তার পরেও সাধারণের একাংশের হুঁশ ফিরছে না। তবে এ ধরনের নজরদারির কাজে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।