৮৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন দাখিল ৬ বছরে ৫৯ বার পিছিয়েছে

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ফের সময় দিলো আদালত। এ নিয়ে গত ৬ বছরে ৫৯ বার সময় বেঁধে দেওয়া হলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি র‌্যাব।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নতুন করে দিন ধার্য করেছেন।

আজ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত ফের তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পত্তি।

ঘটনার ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার থাকা ৫ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেফতার দেখিয়ে এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়।

ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা ছাড়া গত ৬ বছরে মামলার তদন্তে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নাই।

তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতায় কয়েক আসামি ইতোমধ্যেই জামিনে পেয়েছেন।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

এরপর সাগর-রুনির মরদেহ কবরস্থান থেকে তোলার আবেদন করে র‌্যাব। ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর-রুনির মরদেহ তোলা হয়।

এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দকৃত আলামতের সঙ্গে ম্যাচিং করার জন্য ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। মূলত এরপরই মামলার তদন্তে স্থবিরতা নেমে আসে।