বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

বরিশালেও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি না করার নির্দেশ

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশালের পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরওয়ার গতকাল রিটটি করেন। ৩০ জুলাই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে সগীর হোসেন লিওন গণমাধ্যমকে বলেন, রুলে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ না করে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃক বিএনপির নেতা, কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের বৈষম্যমূলক গ্রেপ্তার-হয়রানি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশালের পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে বিএনপির নেতা, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।