উচ্চ আদালত

শিশু হত্যা: আপিল শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ

দাবি অনুযায়ী চাঁদা না দেয়াই শিশু সন্তানকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেনি হাইকোর্ট। আইনগত প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ করে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৯ জুলাই) এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ খান এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

পরে মনিরুজ্জামান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ করায় এখন নিয়মানুযায়ী মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেয়ার পরেই আইনগত প্রশ্নে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সৈকতকে (৭) হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. সিদ্দিকুর রহমান নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানায় ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর এই মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।

এছাড়া পলাতক আসামি সবুজ মিয়া ও তাপস বন্ধু সাহাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। তবে মামলার আরেক আসামি আনিছ মিয়া শিশু হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেন একই আদালত।

আইনানুযায়ী শিশুর অপরাধের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে পারে কিনা এ নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপিত হলে হাইকোর্ট বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে মামলাটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে প্রেরণের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, এই মামলায় রোববার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল।