‘সান্ধ্য কোর্স’ বন্ধ না করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাওলাদার-নাসির-হেলালের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমীন হাওলাদার, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাসির এবং নাসিরের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি তরিক উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই তিন প্রার্থীর দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়ার আদেশ দেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে সংশ্লিষ্ট তিন প্রার্থীর আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন।

হাওলাদারের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, রুহুল আমীন হাওলাদারের রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন এ বিষয়ে শুনানির জন্য তাদের অন্য কোনো বেঞ্চ যেতে হবে।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম-৪ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন একই বেঞ্চ। অপরদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাপা নেতা রুহুল আমীন হাওলাদার, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাসির (চট্টগ্রাম-৫) ও নাসিরের ছেলে মীর হেলালের (চট্টগ্রাম-৫) করা রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন বিচারপতি তরিক উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

রুহুল আমিন হাওলাদার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর তিনি ইসিতে আপিল করেন। ইসিতে শুনানির পরও তার মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়। ইসির এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

গতকাল সোমবার হাওলাদারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাসির ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপি এবং নানা ক্রটির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এরপর তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। আপিলেও তাদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষিত হয়। পরে তারা হাইকোর্টে রিট করেন।