বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

আইনজীবীদের সরকারি পেনশন সুবিধার আওতায় আনার দাবিতে রিট

আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সরকারি পেনশন সুবিধার আওতায় আনার দাবিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিট আবেদনে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ফান্ড বরাদ্দ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সরকারি পেনশন সুবিধার আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এজন্য পর্যাপ্ত ফান্ড বরাদ্দ দিতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক। রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, রিট আবেদনটির ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও কৃষকেরা অবহেলিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার কৃষকদের জন্য অনেক কল্যাণকর পদক্ষেপ নিয়েছে। যার কারণে দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য আছে। রাষ্ট্রের তিনটি সাংবিধানিক অঙ্গের বাইরে আইনজীবীরা একটি সাংবিধানিক অঙ্গ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। একই ভাবে কিছু হলুদ সাংবাদিক বাদে দেশের সাংবাদিকরাও তাদের সংবাদ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যাতে করে নির্বাহী বিভাগ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, প্রাইভেট সেক্টরস এবং সব নাগরিক লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু আইনজীবী ও সাংবাদিকরা সব ক্ষেত্রে অবহেলিত এবং তাদের নূন্যতম স্বার্থ রক্ষায় মামলার বাদী সংক্ষুব্ধ হিসেবে হাইকোর্টের সামনে হাজির হয়েছেন।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকার সংবিধানের অধীনে প্রজাতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার করেছে। অথচ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের অবসরের পরে কোনো নগদ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই, এমনকি সরকারের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত। অথচ রাষ্ট্রের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা গ্রাচ্যুইটি হিসেবে এবং লাফই টাইম প্রিমিয়াম বোনাস পাচ্ছেন।