চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে মুরগি চুরির অপবাদে এক কিশোরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদের নেতৃত্বে নির্যাতন

চরফ্যাশনে কিশোর নির্যাতনের মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার

ভোলার চরফ্যাশনে কিশোর রুবেলকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের মামলায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য আমজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চরফ্যাশন পৌর শহরের রাস্তা থেকে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শশীভুষণ ও চরফ্যাশন থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি মনিরুল জানান, আমজাদের সহযোগী ও এই মামলার আসামি বাবুল মাঝি আগেই গ্রেফতার হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে আমজাদকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এজাহারভুক্ত আসামি বাবুল (৪৫) পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বলে, আমজাদের নির্দেশে রুবেলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকালে বাবুল মাঝিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই তাকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জিজ্ঞাসাবাদে বাবুলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ইউপি সদস্য আমজাদ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ জেলেদের ওপর নির্যাতন করতো। জেলেদের সঙ্গে চড়া দরে সুদের ব্যবসা করে সে। এর ফলে জেলেসহ এলাকাবাসী তার কাছে জিম্মি অবস্থায় আছে। তার ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলতে সাহস পান না। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশও অমান্য করতো ইউপি সদস্য আমজাদ ।

শশীভূষণ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পরই চিকিৎসার জন্য রুবেলকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর জেলার হাজারীগঞ্জে মুরগী চুরির অপবাদে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেলের হাত-পা বেঁধে (১৪) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে প্রকাশ্যে নির্যাতন করে ইউপি সদস্য ও তার বাহিনী। এসময় রুবেলকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি আমজাদের লোকজন। প্রায় দুই মাস পর নিযার্তনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেইসবুকে ভাইরাল হলে শশীভূষণ থানায় ইউপি সদস্য আমজাদসহ ছয়জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন রুবেলের মা বিলকিস বেগম।