চার্জশিটভুক্ত আসামি গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশু হত্যা মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশু নুসরাত জাহান (৪) ও ফারিয়া আক্তার দোলাকে (৫) হত্যার ঘটনার ১৬ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিল পুলিশ। চার্জশিটে গোলাম মোস্তফা (২৮) ও আজিজুল বাওয়ানী ওরফে আজিজুল বাওলীর (২৮) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ।

ডিএমপি জানায়, ‘ডেমরার ওই দুই শিশু হত্যার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালতে গ্রেফতার হওয়া দুইজন তাদের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।’

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি রাতে ডেমরার ‘নাসিমা ভিলা’র মোস্তফার ঘর থেকে নুসরাত জাহান ও ফারিয়া আক্তার দোলার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই দিন দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল তারা। এ ঘটনায় পরদিন (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নুসরাতের বাবা পলাশ হাওলাদার বাদী হয়ে ডেমরা থানায় একটি মামলা (নং-১২) দায়ের করেন।

ঘটনার দুইদিন পর অভিযুক্ত মোস্তফা ও আজিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দুইজন জানান, লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু নুসরাত ও ফারিয়াকে ঘরে ডেকে নেন গোলাম মোস্তফা। তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্ষণ।

এই উদ্দেশ্যে চাচাত ভাই আজিজুল বাওয়ানীকে আগেই বাসায় খবর দিয়ে আনেন মোস্তফা। ঘরে ডেকে প্রথমে শিশু দুটিকে নিজের স্ত্রীর লিপস্টিক দিয়ে সাজায় মোস্তফা। এরপর তারা দুইভাই মিলে ইয়াবা সেবন করে শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ফারিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে আজিজুল। নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে মোস্তফা।