কুকুরকে মুক্তভাবে চলাফেরার সুযোগ না দিয়ে একটানা সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁধে রাখলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য ছয় মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৮’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই খসড়া আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি জানান, ১৯২০ সালের ‘পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিরোধ আইন’টি এতোদিন চলে আসছিল। সেই আইনের ভিত্তিতে নতুন আইনটি করা হয়েছে।
নতুন আইনের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কেউ এই আইন অমান্য করলে বা অপরাধে সহায়তা করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
সচিব আরও জানান, এই আইনের সাধারণ নির্দেশনা হচ্ছে- প্রাণীর প্রতি কল্যাণকর ও মানবিক আচরণ করা এবং নিষ্ঠুর আচরণ করা হতে বিরত থাকাই হবে প্রত্যেক প্রাণীর মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর দায়িত্ব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রাণী জবাই এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎসর্গকালে যেকোনও ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি কর্তৃক নিজস্ব ধর্মীয় আচার অনুযায়ী কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তাকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে না।’
সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘যুক্তিযুক্ত প্রয়োজনে ভেটেরিনারি সার্জনের লিখিত পরামর্শ ও অনুসারে প্রাণীকে অজ্ঞান করার ক্ষেত্রে বা এর ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।’
জাতীয় সংসদে এই আইনটি চূড়ান্ত হলে তা মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে যুক্ত হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।