কমান্ডো অভিযানে নিহত ছিনতাইচেষ্টাকারী

বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী র‌্যাবের ‘তালিকাভুক্ত অপরাধী’

দেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্লেন ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাইচেষ্টাকারী আগে থেকে র‌্যাবের ‘তালিকাভুক্ত অপরাধী’। সেই তালিকা অনুযায়ী তার পরিচয় মো. পলাশ আহমেদ।

আজ সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার আগে র‌্যাবের পক্ষ থেকে এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযানের পর বলা হয়েছিল, ক্রুকে ছিনতাইচেষ্টাকারী নিজের নাম ‘মাহাদী’ বলে জানিয়েছে।

র‌্যাবের বার্তায় বলা হয়, প্লেন ছিনতাইচেষ্টায় কমান্ডো অভিযানে নিহত সন্ত্রাসী র‍্যাবের অপরাধী ডাটাবেজের অন্তর্ভুক্ত। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরিজপুরের দুধঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার।

র‍্যাব আরও জানায়, প্লেনটি ঢাকা থেকে দুবাইগামী হলেও পলাশ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিলেন। টিকেট অনুযায়ী তার নাম ‘আহমেদ/মো. পলাশ’। ফ্লাইটের ‘১৭এ’ আসনের যাত্রী ছিলেন তিনি।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ঠিক কোন অপরাধের জন্য তিনি আমাদের ডাটাবেজে ছিলেন তা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে উপযুক্ত সময়ে সেই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করবো।

উল্লেখ্য, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে দুবাইগামী বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পাইলট তা শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান।

খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আর রানওয়েতে অবস্থান করা প্লেনটি ঘিরে রাখে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনা কমান্ডোর সদস্যরা। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় ছিনতাইচেষ্টাকারী।

অভিযানের পর চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫-২৬ বছর। ক্রু’কে সে তার নাম ‘মাহাদী’ বলে জানিয়েছে।

ঘটনাটি তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রেস ব্রিফিং করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মুহিবুল হক।