‘সংগীতের স্বত্ব সুরক্ষায় কপিরাইট আইনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার

‘সংগীতের স্বত্ব সুরক্ষায় কপিরাইট আইনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস এবং বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস এসোসিয়েশন (বামবা) এর যৌথ উদ্যোগে ‘সংগীতের স্বত্ব সুরক্ষায় কপিরাইট আইনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এমপি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম রোকসানা মালেক ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এমপি বলেন যে, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সুরক্ষায় দেশের সর্বস্তরে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। তিনি এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বলেন যে, সংগীত ভুবনের সংগে সংস্কৃতির সম্পর্ক সুনিবিড়। সংগীত ভুবন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সংগীত সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের কপিরাইট সুরক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সকল কর্মকান্ডে কপিরাইট অংশীজনদের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেগম রোকসানা মালেক বলেন যে, বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে কপিরাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। এ আইনটিকে সংগীতসহ সকল বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সুরক্ষায় যথাযথভাবে প্রয়োগের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তবে এ বিষয়ে কেবল সরকার নয়, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদেরও এগিয়ে আসা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস এসোসিয়েশন (বামাবা) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড সংগীত শিল্পী জনাব মাকসুদুল হক।

মূল বক্তব্যে জনাব মাকসুদুল হক বলেন যে, দেশের ব্যান্ড সংগীত কিংবা ব্যান্ড দলের কোন শিল্পীকে  সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। উদাহরণ হিসেবে তিনি এবারে একুশে পদক প্রাপ্তিতে  মরহুম আজম খানের বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, মরহুম আজম খান এদেশের ব্যান্ড, রক বা পপ সংগীতের পুরোধা হলেও তাকে কেবল সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক দেয়া হয়েছে। তাঁর স্বীকৃতিতে ব্যান্ড বা পপ সংগীতের কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সংগীত শিল্পীদের কল্যাণে Collective Management Organization (CMO)-কে কার্যকর করার বিষয়ে সরকার ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস জনাব জাফর রাজা চৌধুরী। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি