আদালতের মধ্যস্থতায় জোড়া লাগলো ভাঙা সংসার

স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী তাঁর কথা শোনেন না। স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী তাঁর কোনো কথায় কান দেন না। এই নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, ঝগড়া-বিবাদ। একপর্যায়ে তালাক হয়ে যায়। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আদালতে যান স্ত্রী। পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত ছিলেন স্বামীও। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের মধ্যস্থতায় বিবাদের অবসান হয়েছে। আদালতে বসেই নতুন করে বিয়ে করেছেন তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজ আদালতে (ঈশ্বরদী) এ ঘটনা ঘটেছে। দুজনকে নতুন করে বিয়ে দেওয়ার মধ্যস্থতা করেছেন বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়। সুখেই ছিলেন তাঁরা। তাদের একটি মেয়েও আছে। তবে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ঝগড়া-বিবাদ নিত্যদিনের বিষয়ে পরিণত হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে তালাকের সিদ্ধান্ত নেন স্বামী-স্ত্রী। ওই বছরের ৪ অক্টোবর তাদের তালাক হয়। ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ স্ত্রী দেনমোহর ও ভরণপোষণ দাবি করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতে চলতে থাকে দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক, সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন।

আজ দুপুরে মামলার শুনানির জন্য আদালতে হাজির হন তাঁরা দুজন ও তাদের পক্ষের লোকজন। এ সময় আদালতের বিচারক তাদের দুজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বুঝতে পারেন, পুরোটাই হচ্ছে দুজনের রাগ-ক্ষোভের কারণে। এরপর নতুন করে ঘর বাঁধার প্রস্তাব ওঠে আদালতেই। উঠে আসে তাদের মেয়ের ভবিষ্যতের কথা। একপর্যায়ে তাঁরা আবার বিয়ে করতে সম্মতি জানান। শেষ পর্যন্ত আদালতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। হাসি মুখে ঈশ্বরদীর বাড়ি ফেরেন এই দম্পতি।