বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে টার্মিনালে প্রবেশ ফি বাড়ানো কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।

রিটে নৌসচিব, অর্থসচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও পরিচালক (অর্থ), যুগ্ম পরিচালক, উপ- পরিচালক (বন্দর) ও ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালকসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অফিস আদেশে লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ফি বৃদ্ধি করেছে। যা গত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। ১৯৫৮ সালের বিআইডব্লিউটিএ অধ্যাদেশ অনুসারে ফি নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তবে ফি বাড়াতে হলে বিধিমালা করার বিষয় আইনে উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত বিধিমালা করা হয়নি। ফলে স্বেচ্ছাচারীভাবে অফিস আদেশের মাধ্যমে ফি নির্ধারণ করছে বিআইডব্লিউটিএ।

রিটকারী আইনজীবী মো. আবু তালেব বলেন, যখন খুশি তখন ফি নির্ধারণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। অধ্যাদেশ অনুসারে ফি নির্ধারণ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে, যা মানছে না সংস্থাটি। এজন্য রিট করা হয়েছে।

রিট আবেদেন বলা হয়েছে, সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদে আইন পাস না করে জনগণের ওপর কর আরোপ করা যাবে না। কিন্তু কোন আইন ও কর্তৃত্ববলে টোলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে তা কেউ জানে না।

এর আগে গত ২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব লঞ্চ টার্মিনালে ফি বাড়ানোর বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠান। একই সঙ্গে, বিনা ফিতে লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ করার সুযোগ চান তিনি। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিট আবেদনটি করা হয়েছে জানান আইনজীবী।