এখনই স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থা ফিরছে না আদালতে। স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থায় ফেরার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ঐক্যমতে না পৌঁছানোয় আপাতত ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পদ্ধতি চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী সপ্তাহ থেকে হাইকোর্টে ভার্চ্যুয়ালি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা অংশ নেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচারপতিরা তাদের মতামত সভায় তুলে ধরেন।
সভা সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতিরা বলেছেন দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পিক চলছে। অনেক বিচারক, আইনজীবী ও কোর্ট স্টাফ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কোর্ট খুলে দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে না। কারণ আদালত প্রাঙ্গণ সবসময় জনাকীর্ণ থাকে। দীর্ঘদিন পর নিয়মিত কোর্ট চালু হলে বিচারপ্রার্থীরা আদালতে ভীড় করবে। সেটা সামাল দেওয়ার মত জনবল থাকাও দরকার। আবার বিচারপ্রার্থীদের দূর্ভোগ লাঘবে কোন কোন বিচারপতি সীমিত পরিসরে কোর্ট খোলার পক্ষে মতামত দেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিয়মিত কোর্ট খোলার পক্ষে সকল বিচারপতিরা একমত পোষণ না করায় স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থায় আপাতত না ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় ফুলকোর্ট সভা।
সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই নিয়মিত কোর্ট খোলার বিষয়ে আবার ফুল কোর্ট সভা আহবান করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এই ফুলকোর্ট সভা চলে। সভায় ভার্চুয়ালি কোর্ট চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ২/৩ দিনের মধ্যে ভার্চ্যুয়ালি ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন প্রধান বিচারপতি। ওইসব বেঞ্চে কি ধরনের মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে তার এখতিয়ার নির্ধারণ করে দেবেন তিনি।
এছাড়া লজিস্টিক সাপোর্ট অপ্রতুল হওয়ায় এখনই হাইকোর্টের সকল বিচারপতিকে ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চের দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে সভায় জানান প্রধান বিচারপতি। পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট হলেই মামলা পরিচালনার জন্য সব বিচারপতিদের বেঞ্চ দেওয়া হবে বলেও সভায় জানানো হয়েছে।