বন্দুকযুদ্ধ

নোয়াখালীতে বন্দুকযুদ্ধে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নিহত

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২০) গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর নাম আকরাম হোসেন (২৫)।

উপজেলার উত্তর মানিকপুর ও মজিরখিল গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল শুক্রবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত আকরাম উত্তর মানিকপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে। তাঁর লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাখা আছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুইটি তাজা কার্তুজ ও ছয়টি কার্তুজের খোসা, একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী (২০) পাশের গ্রামের একটি বাড়িতে কাজ করতেন। গত ৬ জুন সকালে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকরাম হোসেন, মো. ফারুক, মো. সোহেল ও মো. শাওন ওরফে শাহীন ওই তরুণীকে আলী হোসেন ওরফে হুক্কার অটোরিকশায় তোলেন। পরে ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে ১১ জুন সেনবাগ থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাদের মধ্যে মো. ফারুক (২৭) ও মো. ফাহিমসহ (১৯) তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।

বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধার ভাষ্য, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী (২০) গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে গতকাল দিবাগত রাতে থানা-পুলিশের একটি দল উত্তর মানিকপুর এলাকায় যায়। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের দলটি উত্তর মানিকপুরের পাশ্ববর্তী মজিরখিল সীমানার কাছাকাছি গেলে হঠাৎ পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি চালান অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে এক যুবককে গুলিতে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পুলিশ জানতে পারে তিনি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আকরাম। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টা ২০ মিনিটে সেনবাগ থানার পুলিশ গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লুপেন মহাজন, দুই কনস্টেবল মো. জিয়া ও মো. এমরান হোসেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।