ডেসটিনির শীর্ষ দুই কর্তা

ডেসটিনির দুই শীর্ষ কর্তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

মানিলন্ডারিং আইনে দুদকের দায়ের করা দুটি করে পৃথক চারটি মামলায় কারাগারে বন্দি ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। বরং নিয়মিত আদালত না খোলা পর্যন্ত জামিন আবেদন মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন।

তাদের জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন দীর্ঘদিন কিভাবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও মো. মাইনুল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, নিয়মিত কোর্ট খোলা না হওয়া পর্যন্ত স্ট্যান্ড ওভারের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধে দুই মামলায় পৃথক পৃথক আবেদন নিয়মিত কোর্ট না খোলা পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার। তারা মেডিকেল গ্রাউন্ড ও দীর্ঘ কারাভোগের কারণ দেখিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন।

মোহাম্মদ রফিকুল আমিন দীর্ঘদিন কিভাবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকছে সেই বিষয়ে আদেশ দিতে হাইকোর্ট দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করতে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

উল্লেখ্য, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা দুটি দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ অন্যত্র স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ১১ অক্টোবর থেকে ডেসটিনির শীর্ষ দুই কর্তা এ মামলায় কারাবন্দি আছেন।