বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মীর নাসির কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দণ্ডিত বিএনপির নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এ এস এম রুহুল ইমরান এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেওয়ান আশিক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ মামলায় দণ্ডিত আসামি মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, একই মামলায় গত ২৭ অক্টোবর মীর নাসিরের ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত

দুর্নীতির মামলায় মীর নাসিরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং মীর হেলালকে দেওয়া ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ১৯ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছার তিন মাসের মধ্যে তাঁদের সেখানে (বিচারিক আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

মীর নাসির ও মীর হেলাল আপিল বিভাগে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে পৃথক আবেদন করেছিলেন। তাঁদের আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। এ অবস্থায় গত ২৭ অক্টোবর মীর হেলাল ও আজ মীর নাসির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তাঁর ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত মীর নাসিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাসির ও মীর হেলাল হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০১০ সালের আগস্টে হাইকোর্ট মীর নাসির ও মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।