১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

ভূমি আপিল বোর্ড বিধিমালার দু’টি ধারা অবৈধ ঘোষণা

মূল আইনের পরিপন্থী ভূমি আপিল বোর্ডের কার্য্য বন্টন ও পদ্ধতি সংক্রান্ত বিধিমালার দুটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ভূমি আপিল বোর্ড বিধিমালা ১৯৯০ এর ৩ (২) ও ৩ (৩) বিধি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।

অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ভূমি আপিল বোর্ডের মূল আইনে বলা হয়েছে ভূমি আপিল বোর্ড তিন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। তারা একসঙ্গে জমি সংক্রান্ত আপিল রিভিউ এবং রিভিশন নিষ্পত্তি করবেন।’

‘কিন্তু ভূমি আপিল বোর্ডের ১৯৯০ এর ৩ (২) ও ৩ (৩) বিধিতে রিভিউ এবং রিভিশন বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের কথা আলাদা আলাদা শোনার কথা বলা হয়েছে। যা মূল আইনের পরিপন্থী। এ কারণে আদালত উপরোক্ত দু’টি ধারা অবৈধ ঘোষণা করেছেন।’

উল্লেখ্য, ভূমি আপিল বোর্ড বিধিমালা ১৯৯০ এর ৩ (২) ও ৩ (৩) তর্কিত ধারা দুটিতে বলা আছে,

৩ (২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ পৃথক এবং এককভাবে পক্ষগণকে শুনানীক্রমে আপীল/রিভিশন এবং পুনর্বিবেচনার আবেদনের উপর আদেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত আদেশ বোর্ডের আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে।

৩ (৩) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের পুনর্বিবেচনা, মামলায় আইনগত জটিলতা বা আইনের ব্যাখ্যার প্রয়োজন দেখা দিলে চেয়ারম্যান বিষয়টি ফুলবোর্ডে (চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড) বিবেচনার জন্য উপস্থাপনের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং সদস্য উক্তরূপ আদেশের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করিবেন। চেয়ারম্যান বিষয়টির উপর ফুলবোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন মনে করিলে তিনি ফুলবোর্ডে বিষয়টি পেশ করিবেন এবং ফুলবোর্ড শুনানীর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।

এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভূমি আপিল বোর্ড গঠন সংক্রান্ত বিধিমালা ১৯৯০ এর ৩ (২) ও ৩ (৩) ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় দিলেন।