সব ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‌‘সব ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি এবং সুমহান ঐক্য ও ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের অডিটোরিয়ামে বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সোমবার (৩০ নভেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে বাংলার প্রকৃতি বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়েছে। কালের আবর্তনে প্রতি বছর শরৎকালে এদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়।’

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব কেবল ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না, সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি এখন শুধু নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে আনন্দ উৎসবে শামিল হওয়ার মাধ্যমে এটি সর্বজনীন হয়ে গেছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধকে সুদৃঢ় করার জন্য দুর্গাপূজা এক অনন্য সামাজিক উৎসব। হিন্দু ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয় উদারতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতা। সব ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি।’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও ঐতিহ্য আমাদের ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে সব সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, উগ্রতা পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ ও দেশকে গড়ে তুলতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের দৃঢ়ভাবে অঙ্গিকার করতে হবে। যাতে আমরা দেশকে বিশ্বসভায় গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ধর্মীয় আলোচনা করেন ফরিদপুর শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনের মহানাম সম্প্রদায় ড. শ্রীমৎ নিকুঞ্জ বন্ধু ব্রহ্মচারী।