চার মাসের সাজার আপিল নিষ্পত্তি হয়নি ৪৯ বছরেও
উচ্চ আদালত

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: হাইকোর্টে সোহাগ মেম্বারের জামিন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার আসামি স্থানীয় মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বারের (৪৫) জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোম্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

নথি অনুযায়ী সোহাগ মেম্বারের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে দণ্ডবিধির ২০২ ধারার অভিযোগ এনেছে। ওই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাস। এই বিবেচনায় তার জামিন চান আইনজীবী অজি উল্লাহ।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘ঐ নারীকে নির্যাতনের ঘটনা ৭১ সালের নির্যাতনের ঘটনাকেও হার মানিয়েছে।’

পরে শুনানি নিয়ে মামলার এজাহার ও চার্জশিট পর্যালোচনা করে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ নভেম্বর ওই ঘটনায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন তার আগের স্বামী। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার বিষয়টি দেখে ফেলেন। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ারের লোকজন ওই নারীর ঘরে ঢুকে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজের অভিযোগে ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়।

৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। পরে এ ঘটনায় দায়েরকৃত নির্যাতন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।