অনলাইনে প্রতারণার স্বীকার হলে আইনগত প্রতিকার কি?

মো. এস এইচ সোহাগ :
প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা ধীরে ধীরে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। বর্তমান সময় অনলাইনে কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে সকল প্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাচ্ছে ঘরে বসেই। কোরবানীর গরু কিংবা মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার ক্রয়-বিক্রয় এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ট্রেনিং সেন্টারও অনলাইনে শিক্ষা কিংবা ট্রেনিং প্রদান করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার চাকরি দেয়া-নেয়াও হচ্ছে অনলাইনে। ছাঁড়পোকা তাড়ানো থেকে শুরু করে ফ্রিজ/এসি সার্ভিসিং এর চুক্তিও হচ্ছে অনলাইনে। ভার্চুয়াল কারেন্সি ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি। এক কথায় বলা যায় কি না হচ্ছে এখন অনলাইনে।

সাইবার প্রতারণা কিংবা অনলাইনে প্রতারণার ধরণ :
একটি বিষয় স্পষ্ট, যে জাতি যত বেশী উন্নত সে জাতির প্রতারকরা তত বেশী ধুর্ত। সাইবার প্রতারণা কিংবা অনলাইনে প্রতারণার মূল বিষয়বস্তু হলো লোভনীয় বিজ্ঞাপন। এরূপ প্রতারণার কয়েকটি ধরণ উল্লেখ করছি-

•“ঘরে বসে মাত্র দুই ঘণ্টা কাজ করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান?” [ যেখানে ০৮ (আট) ঘন্টা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও আমাদের দেশে বর্তমানে এতো টাকা আয় করা কঠিন হয়ে যায় অনেকের জন্য।]

•“ব্রান্ড নিউ Apple iPhone X (iPhone 10) মাত্র ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকায়!” [একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুনতো কিভাবে এটা সম্ভব!]

•“অনেক কম দামে ভার্চুয়াল ডলার বিক্রয় করা হয়” [অস্বাভাবিক কম মানেই নিশ্চিত ফাঁদ।]

•“ব্রান্ড নিউ R15 V3 মোটরবাইক মাত্র ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায়। ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়।” [কি দারুন তাই না? অফার আর সুযোগ সুবিধার অভাব নাই।]

•“বিদেশ থেকে মূল্যবান গিফট সামগ্রী পাঠানো আর সেগুলো শুধুমাত্র কুরিয়ার চার্জ দিয়ে পেয়ে যাওয়া” ইত্যাদি ইত্যাদি।

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে সাইবার প্রতারণা কিংবা অনলাইনে প্রতারণার মূল হাতিয়ার হলো লোভনীয় বিজ্ঞাপন। কথায় তো আছেই “অতি লোভে তাঁতি নষ্ট”। তবে কিছু কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। শুধুমাত্র লোভ নয় অনেক সময় প্রয়োজন মেটাতে গিয়েও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়াও ফেসবুক আইডি কিংবা অন্য কোন ভার্চুয়াল আইডি হ্যাক করে সেখানে থাকা প্রয়োজনীয় কিংবা গোপনীয় কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য, কথোপকথন, ছবি ইত্যাদি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে কিংবা সেগুলো প্রকাশ করে ক্ষতিসাধন করে থাকে প্রতারকগণ।

এরূপ সাইবার প্রতারণা কিংবা অনলাইনে প্রতারণার স্বীকার হয়ে যান তাহলে আইনগত প্রতিকার কিভাবে পাবেন সেটাই এই পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয়। লক্ষ্য করুন উল্লেখিত প্রতারণার ধরণ কিন্তু এক নয় সুতরাং প্রতিকারের ধরণও এক হবে না। সেক্ষেত্রে উল্লেখিত প্রতারণা সমুহের আইনগত প্রতিকারগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো। এ ছাড়াও অন্য কোন প্রতারণার স্বীকার হয়ে থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সঠিক সমাধান প্রদান করতে।

চাকরি সংক্রান্ত প্রতারণা :
চাকরি সংক্রান্ত প্রতারণার মধ্যে আমরা প্রায়ই দেখতে পাই যে লোভনীয় চাকরির অফার দিয়ে বিভিন্ন অযুহাতে টাকা পয়সা নিয়ে চাকরি দাতা উধাও হয়ে যাওয়া অথবা চাকরি প্রার্থীকে উধাও করে দেয়া। অর্থাৎ ধরুন আপনি ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখলেন “ঘরে বসে মাত্র দুই ঘণ্টা কাজ করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান? তাহলে আমাদেরকে মেসেজ করুন”। আপনি সেখানে মেসেজ করে জানতে পারলেন কাজ শুধুমাত্র প্রতিদিন ২৫০ শব্দের একটি করে অনুচ্ছেদ লিখে জমা দিতে হবে। যেমন- বর্ষাকাল, টি-স্টল ইত্যাদি। অর্থাৎ চাকরি হলো কন্টেন্ট রাইটিং এর। আর এই চাকরি পেতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, ফি মাত্র ১০০/- (একশত) টাকা। প্রতি মাসে বেতন পাবেন ২০ হাজার টাকা।

এর সাথে আরো চমৎকার একটি অফার রয়েছে সেটি হলো নিজের মতো আরও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে পারলে কমিশন হিসেবে অর্ধেক ‘ফি’ পাবেন। ৫০ জন চাকরিপ্রার্থীদের যুক্ত করতে পারলে বোনাস হিসেবে পাবেন আরো ১০০ টাকা। এগুলো প্রতি মাসের বেতনের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

খুবই চমৎকার চাকরি। রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ১০০/- (একশত) টাকা। মাসে ইনকাম ২০ হাজারেরও বেশী। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনি যদি ২০ জনকে এখানে যুক্ত করেন তারা প্রত্যেকে যদি আরো ২০ জন করে যুক্ত করে এবং তারা প্রত্যেকে যদি আরো ২০ জন করে যুক্ত করে তাহলেই কত টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি চাকরিদাতা পাবেন? চলুন একটু অঙ্ক করে দেখি-

২০ X ২০ X ২০ = ৮০০০ জন চাকরিপ্রার্থী। আর প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করলে-

৮০০০ X ১০০ = ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ পেয়ে যাবেন চাকরিদাতা।

একজন চাকরি প্রার্থীর ০১ (এক) মাস চাকরি করার পরে যখনই বেতন গ্রহণের সময় হবে তখনই চাকরিদাতা তাদের ফেসবুক আইডি, পেজ, গ্রুপ ইত্যাদি ডিএক্টিভেট করে দিলে সেটাকেই বলে চাকরিদাতার উধাও হয়ে যাওয়া অথবা আপনাকে তাদের ফেসবুক আইডি, পেজ, গ্রুপ ইত্যাদি থেকে ব্লক করে দিলে সেটাকেই বলে চাকরি প্রার্থীকে উধাও করে দেয়া।

সাধারণত এমন প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন নারীরা এবং স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা। মূল কারণ হলো অল্প সময় অল্প পরিশ্রমে অধিক ইনকামের সুযোগ পাওয়া।

এরূপ সাইবার প্রতারণা কিংবা অনলাইনে প্রতারণার স্বীকার হলে সাথে সাথেই প্রতারিত হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল তথ্য নোট করুন।

যেমন-

•মেসেঞ্জারে চ্যাটিং হলে মেসেঞ্জারে গিয়ে প্রতারকের URL টি কপি করে নোট করুন।
•ফেসবুক পেজে চ্যাটিং হলে পেজের URL টি কপি করে নোট করুন।
•গ্রুপে কথা হলে গ্রুপের URL টি কপি করে নোট করুন।
•উল্লেখিত সকল ক্ষেত্রেই সকল চ্যাটিং কিংবা কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিয়ে নিন।
•যে মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করেছেন সেটি নোট করুন।
•যে নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন সেটি নোট করুন।
•প্রতারকের একাধিক নাম্বারে যোগাযোগ করে থাকলে কিংবা টাকা পাঠিয়ে থাকলে সবগুলো নাম্বারই নোট করুন।
•অনলাইনের মাধ্যমে চাকরি সংক্রান্ত কোন প্রকার চুক্তিপত্র থাকলে সেটির কপি করুন।
•সর্বমোট কত টাকা প্রতারিত হয়েছেন সেটার পরিমানগুলো বিস্তারিত নোট করুন।

এবার এই বিস্তারিত নোটটি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়রি এন্ট্রি করুন অথবা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২২/২৩/২৪/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করুন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২২ ধারা (ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি)-

(১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া জালিয়াতি করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ৫৩ ধারার বিধানমতে ২২ ধারার অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য অপরাধ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৩ ধারা (ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা)-

(১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া প্রতারণা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ৫৩ ধারার বিধানমতে ২৩ ধারার অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য অপরাধ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৪ ধারা (পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ) :

(১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, কোনো ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করিয়া-

(ক) প্রতারণা করিবার বা ঠকাইবার উদ্দেশ্যে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচয় ধারণ করেন বা অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত কোনো তথ্য নিজের বলিয়া প্রদর্শন করেন, বা

(খ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে নিজের বলিয়া ধারণ করেন,-

(অ) নিজের বা অপর কোনো ব্যক্তির সুবিধা লাভ করা বা করাইয়া দেওয়া,

(আ) কোনো সম্পত্তি বা সম্পত্তির স্বার্থ প্রাপ্তি,

(ই) অপর কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার রূপ ধারণ করিয়া কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার ক্ষতিসাধন,

তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ৫৩ ধারার বিধানমতে ২৪ ধারার অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য অপরাধ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ৩৫ ধারা (অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও উহার দণ্ড):

(১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিবার ক্ষেত্রে, মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রহিয়াছে, কোনো ব্যক্তি সেই দণ্ডেই দণ্ডিত হইবেন।

থানায় মামলা নিতে না চাইলে কি করবেন :

এরূপ ক্ষেত্রে থানায় যদি মামলা নিতে না চায় তাহলে অনতিবিলম্বে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়ে তার পরামর্শ মতো বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ৪৮ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল পুলিশ অফিসারের লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ (cognizance) করিবেন না। সুতরাং বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানাকে আদেশ দিবেন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে এবং উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে আপনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিজ্ঞ আদালত তখন মামলাটি আমলে গ্রহণ (cognizance) করে আসামির বিরুদ্ধে সমন/ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ পরবর্তী পর্বে উল্লেখিত প্রতারণা সমুহের আইনগত প্রতিকারগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে।

লেখক: অ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট, ঢাকা।