পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিধান রেখে অর্থবিল পাস

এবার বাজেটে ১০ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা

করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বর্তমান পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না।

দেশ স্বাভাবিক হলে আবারও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
করোনা সংকটে জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে ‘সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

০৩ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট এটি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে এরমধ্যেই আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থান হবে। দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের অধিক তরুণ, যে হারে উন্নত বিশ্বে ২০-২৫ শতাংশের বেশি নয়। এছাড়া প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ আমাদের শ্রম বাজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দেশে-বিদেশে দক্ষ জনশক্তির জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের অভূতপূর্ব সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। পাশাপাশি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা’ ভিশন ২০৪১’ এবং পেল্ট প্ল্যান ২১০০’ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম দেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানে পারদর্শী মানুষের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সরকারের সঠিক নীতি ও ফলদায়ী কর্ম পরিকল্পনার ফলে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে এররূপ আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের সুবিধা ভোগ করছে।