‘পরকীয়া প্রেমে’ আইনজীবী হত্যা, স্ত্রী গ্রেপ্তার

সিলেটে পরকীয়া প্রেমের জেরে এডভোকেট আনওয়ার হোসেন হত্যা মামলায় স্ত্রী শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২ জুন (বুধবার) দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ৩ টার দিকে তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত আনওয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেনের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১ জুন (মঙ্গলবার) পরকীয়া প্রেমিক শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও গ্রেপ্তার শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামিসহ মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বলেন, এডভোকেট আনওয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। তাকে রিমান্ডে চাওয়া হবে।

এদিকে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এএসএম আব্দুল গফুর বলেন, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন নগরীর তালতলা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু তাঁর অগোচরে স্ত্রী শিপা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিলো শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামের একজনের সাথে। এর জেরেই আনওয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়। তিনি গত ৩০ এপ্রিল তারিখে সেহরি খেয়ে ঘুমান। পরদিন দুপুর প্রায় ৩ টার দিকে স্ত্রী সবাইকে জানান আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। পরে তাকে দাফন করা হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারেন পরকীয়ার জেরে তাকে স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছেন। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখ সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরে আদালতে শোনানি শেষে কোতোয়ালী থানার ওসিকে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।

আব্দুল গফুর আরও বলেন, মামলায় পরকীয়া প্রেমিক মাহিকে প্রধান আসামি ও আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামি করে মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও আসামি আছেন।